সমগ্র জাহান যখন জাহিলিয়াতের আঁধারে আচ্ছন্ন, পশুত্ব ও পাশবিকতায় ভারাক্রান্ত ধরিত্রী, বাতিল ও শয়তানিয়াতের দূর্দান্ত দাপটে পৃথিবীর অবস্থা যখন মুমূর্ষ, হিদায়েতের দিক নির্দেশনাসমূহ লালসাচ্ছন্ন হাতের বিকৃতির শিকার, এমনই এক মুহূর্তে হিদায়েতের বাণী নিয়ে আগমন করলেন নবীয়ে দোজাহান রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। কায়িম করলেন আদর্শময় ও শান্তিপূর্ণ ইসলামী সমাজ, মুক্ত করলেন নারী জাতিকে দাসত্ব এবং পরাধিনতার কঠিন শৃঙ্খল হতে। অথচ নারী সমাজ আজ নগ্নতা ও অসভ্যতার জোয়ারে ভেসে চলছে। নারীর উলঙ্গ ছবি আজ পণ্য সামগ্রীর বিজ্ঞাপনের প্রধান অবলম্বনে পরিণত হয়েছে। ইসলামই নারী জাতিকে পরিপূর্ণ মর্যাদায় সমাসীন করেছে। ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে নারী জাতি আজ প্রকৃত অধিকার ও মর্যাদা হতে বঞ্চিত। এটা নিরেট সত্য যে, একদিকে মেয়েরা আধুনিক খোদা বিমুখ শিক্ষায় শিক্ষিতা হচ্ছে, অপরদিকে ইসলামী জীবনাদর্শ সম্পর্কে একেবারে অজ্ঞ থাকছে। যার ফলশ্রুতিতে মেয়েদের প্রকৃত অধিকার ও মর্যাদা নিদারুনভাবে ভুলুন্ঠিত হচ্ছে।
তাই নারী জাতির এহেন দুরবস্থাকে বিবেচনাপূর্বক আল্লাহ (জা. শা.)-এর অশেষ রহমের বদৌলতে উন্নত পর্দানশীল পরিবেশে সুষ্ঠু ও সুন্দর থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাপনায় দ্বীনি শিক্ষার সাথে সাথে উত্তম চরিত্র এবং সাধারণ শিক্ষায় (বাংলা, অংক ও ইংরেজী প্রভৃতি) শিক্ষিত করে আদর্শবান নারী গড়ার মানসে সুন্নাত ও তাক্বওয়ার প্রশিক্ষণ দিয়ে গ্রহণযোগ্যতার দৃঢ় প্রত্যয়ে মহিলাদের জন্য একটি আদর্শ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছে। অতএব, আসুন! আপনার মেয়ে বা বোনকে গড়ে তুলুন একজন মুসলিম ও দ্বীনদার মহিলারূপে।
